দাবানলে পুড়ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো রেইন ফরেস্ট আমাজন। এ খবরটি বেশ কিছুদিন ধরে বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদ শিরোনাম। জঙ্গলটি পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্র জায়গাগুলোর একটি এবং এ কারণে এটিকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। মনে হচ্ছে যেন আমাদের ফুসফুস পুড়ে ছাই হচ্ছে। সারা বিশ্বে যে পরিমাণ অক্সিজেন তৈরি হয় তার ২০% আসে এই আমাজন থেকে। পৃথিবী জুড়ে যে রেইন ফরেস্ট তার প্রায় অর্ধেকটাই এই আমাজন বনাঞ্চল। পৃথিবীর বৈশ্বিক উষ্ণতা ঠিক রাখতে, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এবং মানবসভ্যতা টিকিয়ে রাখতে আমাজন বনাঞ্চল রক্ষার বিকল্প নেই। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর প্রথমে ভ্রুক্ষেপ না করলেও তীব্র সমালোচনা ও আন্তর্জাতিক চাপে আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে বাধ্য হয়েছেন। জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোও নড়েচড়ে বসেছে এবং আগুন নেভাতে এই জোটের পক্ষ থেকে দুই কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমণ হয় এই জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলো থেকে এবং তাদের কারণে পৃথিবী ধীরে ধীরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। আমাজন রক্ষার মতো তারা যদি পৃথিবীর জলবায়ুর উষ্ণতা রক্ষায় এগিয়ে আসত, তবে পৃথিবী সহজেই বাসযোগ্য হতো এবং বাংলাদেশের মতো নিম্নাঞ্চলগুলো এ ঝুঁকির সম্মুখীন হতো না।
মো. জিল্লুর রহমান
সতিশ সরকার রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকা