বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রোহিঙ্গাদের বিশাল জমায়েত

শঙ্কিত উখিয়ার সাধারণ মানুষ

আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৯, ২২:০৭

দোয়া মাহফিলের নামে রোহিঙ্গারা গত রবিবার কুতুপালং মধুর ছড়া খেলার মাঠ এলাকায় যে বিশাল গণজমায়েত করে তা নিয়ে শঙ্কিত উখিয়ার সাধারণ মানুষ। যে কারণেই হোক পূর্ব নির্ধারিত গত বছরের ১৫ নভেম্বর ও চলতি বছরের ২২ আগস্ট দুই দফা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে এরকম একটি সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ভবিষ্যতে এ ধরনের সমাবেশ যাতে রোহিঙ্গারা করতে সাহস না পায় সে ব্যাপারে প্রশাসনকে আরো তত্পর থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ঐ দিনটিকে তারা রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করে মিয়ানমারের প্রতি বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। পরদিন রোহিঙ্গা সমাবেশের খবরটি বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা সমাবেশে কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ও মাইকিং ছাড়াই এত লোকের জমায়েত নিয়ে স্থানীয় সুধী সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি তথা সর্বস্তরের মানুষের মাঝে একটি ভীতিকর পরিবেশ কাজ করছে বলে সচেতন মহল মনে করছে।  গত বুধবার জাতীয় জাদুঘরে শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা দিবসটি উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিলের অনুমতি চাওয়ায় আপত্তি জানানো হয়নি। কিন্তু তারা যে শেষ পর্যন্ত বিশাল আকারের গণজমায়েত করবে তা ভাবতেই পারেনি। বিষয়টি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা চিন্তা-ভাবনা করবে সরকার। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার মূল কারণ মিয়ানমার। তারা বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি বলেই রোহিঙ্গারা যায়নি। তবে এ নিয়ে এখানে সমাবেশ করার কোনো কারণ নেই।