একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন শিবগঞ্জ উপজেলার জয়মঙ্গল গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে মো. সুলতান উদ্দিন মিয়া। মুক্তিযুদ্ধকালীন রাইফেল ও গ্রেনেটের প্রশিক্ষণ নেন বিভিন্ন স্থানে। যুদ্ধকালীন অধিনায়ক এম এ মান্নান, কমান্ডার আ. বাতেন বিএসসির নেতৃত্বে কে এম সফিউল্লার ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে পুটিয়ার বাজারে সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন সুলতান উদ্দিন। সে সময় তার সহযোদ্ধা ছিলেন মো. কফিল উদ্দিন, মতিউর রহমান মজনু, আবদুল হামিদ পাঠান। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে শেখ ফজলুল হক মণির কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন সাবেক জাতীয় স্টেডিয়ামে বর্তমান বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি । মো. সুলতান উদ্দিন মিয়া বারবার আবেদন ও নিবেদন করার পরও এখনো পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি। বর্তমানে গ্রামের বনজঙ্গল থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সুলতান উদ্দিন বলেন, মরণের আগে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই, আমার অন্য কোনো চাওয়া-পাওয়া নাই সরকারের কাছে। স্থানীয় এমপি জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন বলেন, উপজেলার যাচাই-বাছাই কমিটির সব সদস্যকে নিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। যুদ্ধকালীন (বিএলএফ) থানা কমান্ডার আবদুল বাতেন বিএসসি বলেন, সুলতান উদ্দিন মিয়া একাত্তরে আমাদের সঙ্গে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মোতালিব খান বলেন, সুলতান মিয়ার কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে, তালিকায় আজও পর্যন্ত নাম লিপিবদ্ধ হয়নি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।