মো. মতিউর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর
দেশের একমাত্র দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের ১নং ইউনিট প্রায় দুই বছর পর গত বুধবার সকাল থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। এখান থেকে উত্পাদিত বিদ্যুত্ জাতীয় গ্রিডে আগের ন্যায় যোগ হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদনের আগে এ ইউনিটে গত এক সপ্তাহ ধরে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুত্ উত্পাদন করা হচ্ছিল।
তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি চালু হয় ২০০৬ সালের জুন মাসে।
দীর্ঘ ১১ বছর পর চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর এই ইউনিটে বিদ্যুত্ উত্পাদন বন্ধ করে ভারী মেরামতের কাজ (মেজর ওভারহোলিং) শুরু করে। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪২০ দিনের মধ্যে মেজর ওভারহোলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। অতিরিক্ত ২৪০ দিন সময় লাগে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের। এ ওভারহোলিংয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে বলে তাপবিদ্যুত্ কর্তৃপক্ষ সূত্রে বলা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সংরক্ষণ) প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেজর ওভারহোলিংয়ের কাজ শেষ করতে পারেনি। পরীক্ষামূলকভাবে ১২৫ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটের উত্পাদিত বিদ্যুত্ জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। এই ইউনিট উত্পাদনে যাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ হবে ও লোডশেডিং অনেকাংশে কমে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।