শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেই গ্রীষ্ম ফেরাতে চান জো রুট

আপডেট : ০৯ জুলাই ২০১৯, ২১:০১

গত ৬টি অ্যাশেজের মধ্যে ৪টিই ইংল্যান্ড জিতেছে। এর মধ্যে টানা তিনটি অ্যাশেজও জিতেছে তারা। কিন্তু ২০০৫ সালের সেই অ্যাশেজ জয়ের তুলনা আর কিছুই হয় না। ৯ বছর পর ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করেছিলেন অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফরা। এক লাফে বেড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডে ক্রিকেট দর্শক। আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছিল খেলাটা।

১৪ বছর পর আবার ইংলিশ ক্রিকেটের সেই প্রাণ ফেরাতে চান জো রুটরা। ঘটনাচক্রে এবার অ্যাশেজের আগে আগে চলমান বিশ্বকাপে হটপ ফেবারিট ইংল্যান্ড। আর সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলবে তারা। ফলে অ্যাশেজের আগেই চিরবৈরিতার একটা ছোট্ট সংস্করণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। আর এই ম্যাচটা জিতে ফাইনালে গিয়ে দর্শককে আরেকবার জাগিয়ে তুলতে চান জো রুট।

২০০৫ সালে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট দর্শকের সেই পুনরুত্থানের সুবিধা পেয়েছিল স্কাই স্পোর্টস। এরপর থেকে ইংল্যান্ডে আবারও দর্শক কমে গেছে। কিন্তু স্কাই থেকে গেছে দেশটির ক্রিকেটের পাশে। তারা সম্প্রতি একটি প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছেন সেই ২০০৫ অ্যাশেজ জয় নিয়ে। আর সেখানেই রুট বলছিলেন, সেই জোয়ারটা ফেরাতে চান তারা।

 শৈশবে দেখা সেই ২০০৫ সালের সাফল্য নিয়ে রুট বলছিলেন, ‘আমার মনে হয়, ওটা ছিল একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে আপনি সবচেয়ে আনন্দের যে ব্যাপারটা অর্জন করতে পারেন, তাই। আমি একটা বাচ্চা হিসেবে সেই ২০০৫ অ্যাশেজ কেমন দেখেছিলাম, তা এখনো মনে করতে পারি। ১৪ বছর বয়সে আমি রীতিমতো ডুবে গিয়েছিলাম সেই জয়ে। ওটা জাদুকরী একটা ব্যাপার ছিল।’

রুট বলছিলেন, তারা ঐ আনন্দটাই আবার ফিরিয়ে আনতে চান, ‘আমাদের জন্য একটু ভিন্ন আসরে হলেও সেই একই সুযোগ এখন সামনে এসেছে। এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে, লোকের এখন আবার ক্রিকেটে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এটা অসাধারণ ব্যাপার যে, আমাদের এই দলটার খেলোয়াড়রা লোকেদের আগ্রহ ফেরানোর জন্য তাদের ভূমিকা রাখছে। আমরা যদি এখান থেকে আরো সামনে যেতে পারি, সেটা অসাধারণ একটা ব্যাপার হবে। সর্বশেষ কয়েকটা ম্যাচে আমরা যা করেছি, সেটা করতে পারলেই হবে।’

রুট মনে করেন, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ক্রিকেটের আরো উন্নতি চান। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে ক্রিকেট খেলাটা আরো ছড়িয়ে যাক, এটা তাদের সবার চাওয়া, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড় চায় খেলাটা আরো প্রচার ও প্রসার পাক। ফলে এরকম একটা কিছু অর্জনের ভেতর দিয়ে আমরা সেই কাজটা করতে পারলে তা অসাধারণ হবে।’