শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পনেরো বছরে ‘কায়া’

আপডেট : ০৫ জুলাই ২০১৯, ২২:১৭

পনেরো বছরে পা রাখলো গ্যালারি ‘কায়া’। দেশের শিল্পচর্চাকে শিল্পরসিকদের সামনে তুলে ধরবার যে প্রয়াস শুরু হয়েছিল; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গ্যালারি দেশের শিল্পযাত্রায় নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। যাত্রা শুরুর দিন ছিল ২০০৪ সালের ২৮ মে। এরপর কেটে গেছে দেড় দশক। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে নিরিবিলি পরিবেশে নিত্যনতুন প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে গ্যালারি কায়া। সময়ের প্রবাহমানতায় ঢাকা-উত্তরের এই গ্যালারিটি ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছে শিল্পপ্রেমী আর শিল্পবোদ্ধাদের পছন্দের গন্তব্যস্থলে।

গতকাল শুক্রবার উত্তরায় গ্যালারি কায়া প্রাঙ্গণে দেশের নবীন-প্রবীণ শিল্পী, বুদ্ধিজীবীদের মিলনমেলার মধ্য দিয়ে এই পনেরো বছরের যাত্রাকে স্মরণ করলেন সবাই। আর প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর উপলক্ষে কায়ায় শুরু হয়েছে বিশেষ যৌথ প্রদর্শনী। বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতনামা ৪৩ জন আধুনিক ও সমসাময়িক শিল্পীর ৭২টি সৃজনকর্ম নিয়ে শুরু হয়েছে এ প্রদর্শনী। ২০ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কায়ার পরিচালক গৌতম চক্রবর্তী একজন শিল্পী। তার বাবা প্রয়াত শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তী দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের একজন। শিল্পী পরিবারের সদস্য হিসেবেই গৌতম শুরু করেছিলেন এই গ্যালারির। তিনি বললেন, পনেরো বছর আগে যখন এই গ্যালারি শুরু করি তখন জানতাম না কতদিন এটা চালাতে পারবো। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক কাজ করেছি। অনেক স্বপ্ন ছিল যা এখনো করতে পারিনি। তবে খুব ভালো লাগছে গত পনেরো বছরে যারা একসঙ্গে চলেছি, যাদের সহযোগিতা পেয়েছি। সেই শিক্ষক, শিল্পী, বন্ধুরা সবাই এসেছেন। কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই গতকাল শুরু হয়েছে যৌথ প্রদর্শনীটি। দর্শক দেখতে পাচ্ছেন বাংলাদেশের শফিউদ্দিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, মুর্তজা বশীরের মতো শিল্পীদের কাজ। রয়েছে ভারতের মকবুল ফিদা হুসেন, গণেশ হালুই, কে জি সুব্রামানিয়ামের কাজও।

প্রদর্শনীর সবচেয়ে পুরনো কাজটি শিল্পী আমিনুল ইসলামের। ২০১১ সালে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া বরেণ্য এ শিল্পীর কাজটি ১৯৫৭ সালের। অর্ধশত বছরের পুরনো এ ছবিটিতে প্যাস্টেল রঙে আঁকা, যা যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিল্প সংগ্রাহকের কাছ থেকে সংগৃহীত। শফিউদ্দীন আহমেদের ১৯৯৮ সালের একটি ড্রয়িং রয়েছে প্রদর্শনীতে। আরেক বরেণ্য শিল্পী দেবদাস চক্রবর্তীর কাজটি ১৯৯৬ সালের। ভারতের বরেণ্য শিল্পী কে জি সুব্রামানিয়ামের ‘শিরোনামহীন’ কাজটি ২০০৯ সালের। একজন নারীর বাহ্যিক ও অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য শিল্পী চমত্কারভাবে তুলে এনেছেন এতে। মকবুল ফিদা হুসেনের ২০০৩ সালের কাজ ‘ইটারনাল মাদার’-এ দারুণভাবে শাশ্বত হয়েছেন মাদার তেরেসা।