টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আরও একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার পাবলিক সাক্ষী আব্দুর রৌফ আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। এ পর্যন্ত আদালতে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো। এ সময় মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম খান জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে সাক্ষীকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে হাজির করা হয়। পাবলিক সাক্ষী আব্দুর রৌফ এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন। নিহত ফারুক আহমদের মৃতদেহের সুরতহালের সাক্ষী ছিলেন তিনি। পরে অ্যাডভোকেট বাকী মিয়াসহ আসামি পক্ষের অন্য আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক রাশেদ কবির আগামী ১৮ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রানাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলহাজতে থাকা তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য উচ্চ আদালতের তাগিদ রয়েছে বলে আদালতের একটি সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: ডাকাত-পুলিশ গোলাগুলি, ৫ ডাকাত গ্রেফতার
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফারুক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সাবেক এমপি রানা ও তার তিনভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে।
ইত্তেফাক/অনি