শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নায়ক হওয়ার আশায় ছিলেন সাইফ

আপডেট : ০৩ জুলাই ২০১৯, ২১:৪৮

ভারতের সাথে বাংলাদেশকে জিতিয়ে ম্যাচের হিরো হওয়ার আশায় ছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু সেটা হয়নি। বার্মিংহামের পরাজয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে সেমিতে ওঠার আশা। এজন্য বেশ হতাশাও কাজ করছে সাইফউদ্দিনের মধ্যে।

প্রথম বিশ্বকাপে ছোটবড় ইনজুরি সত্ত্বেও ব্যাটে-বলে তার নিজের পারফর্মেন্স একেবারে হেলাফেলা করার মতো না। তবে তা নিয়ে খুশিতে গদগদ হওয়ার কারণ দেখছেন না তিনি। তার ভাবনায় শুধুই দল। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে পারলে তার আরো ভালো লাগত। ভারতের সাথে ম্যাচ শেষে তাই দেখা গেল এক বিষণ্ন সাইফউদ্দিনকে। অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দল সেমিফাইনালে খেলতে পারলে আমার ভালো লাগত। আমি যদি বিশ্বকাপে একটা উইকেটও না পেতাম বা রান না করতাম এতটা খারাপ লাগত না। দল সেমিফাইনালে গেলেই ভালো লাগত। নিজের প্রথম বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে পারতাম।’

ভারতের সাথে ম্যাচের অন্তিমলগ্নে মোস্তাফিজ যখন আউট হয়ে যান তখন ক্রিজে বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়েছিলেন হতাশাগ্রস্ত সাইফউদ্দিন। কি চিন্তা করছিলেন তখন? উত্তরে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘অবশ্যই খারাপ লাগার মতো একটা দিন। আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে বের হয়ে গেছি। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো ব্যাপার। তবে চেষ্টা ছিল ভালো কিছু করার। এরকম একটা সুযোগের জন্য আমি সবসময় অপেক্ষায় ছিলাম ম্যাচ জেতানোর বা হিরো হওয়ার। আল্লাহর রহমতে আমার ব্যাটে বলে হচ্ছিল। আত্মবিশ্বাসও ছিল যে, আজকে আমি পারব। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটা হয়নি। এটা আসলে একটা খারাপ দিন ছাড়া আর কিছুই না।’

সাইফউদ্দিন কখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলকে জেতাননি। তবে ঘরোয়া লিগ বা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেটে একটা ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। বলেন, ‘আমি বারবার ওই দিনটার কথা স্মরণ করছিলাম আর ভাবছিলাম যে আজকেও পারব। নিজে নিজে বলছিলাম যে, আমি সেরাটাই আজ করব। কিন্তু সেটা হয়নি।’

কথা প্রসঙ্গে নিজের আরেকটা কষ্টের কথাও জানালেন সাইফউদ্দিন। বলতে বলতে অনেকটা আনমনা হয়ে পড়েন। বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমাকে নিয়ে পত্রিকায় লেখা হলো এই বিশ্বকাপে একটা বড় দলের বিপক্ষে আমি নাকি ভয়ে খেলিনি। আমি নাকি ইনজুরির অজুহাত দেখিয়ে খেলিনি। এই জিনিসটা আমার মধ্যে একটা জেদ এনে দিয়েছিল। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে হিরো হব। ভারতের সাথে ব্যাট করতে নামার পর প্রথম থেকে শেষ বল পর্যন্ত আমার মধ্যে এই চিন্তাই ছিল যে আমি ম্যাচ জেতাব। আমার নামে যেসব অপবাদ দেয়া হচ্ছিল আমি যেন তা ভুল প্রমাণ করতে পারি। কিন্তু কপাল খারাপ সেটা পারলাম না। আসলে একজন খেলোয়াড়ের (মুখে) কোনো কিছু বলার থাকে না। আমাদেরকে জবাব দিতে হয় মাঠে। মাঠের বাইরে আমাদের জবাব দেয়ার কোনো পথ নাই।’