বরাবরের মতো আশা জাগানিয়া ব্যাট করছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু জুতসই সঙ্গ না পাওয়ায় ম্যাচ থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়ছে বাংলাদেশ। তামিম আউট হওয়ার পর ওয়ানডাউনে নেমেছিলেন সাকিব। ইতোমধ্যে হাফসেঞ্চুরি করে ছুটছিলেন সামনের দিকে। তবে তাকে রেখে অন্যপ্রান্ত থেকে একে একে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন। এর মধ্যে মোসাদ্দেক ছাড়া বাকি তিনজনই শুরুটা ভালো করেছিলেন। ৩৩ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭৭ রান।
৩১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দশম ওভারে দলীয় ৩৯ রানে মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হয়ে যান তামিম ইকবাল। এরপর দলীয় ৭৪ রানে হার্দিক পান্ডের বলে কোহলির হাতে ধরা পড়ে ফিরেন সৌম্য সরকার। ৩৮ বল থেকে তিনি করেন ৩৩ রান। তৃতীয় উইকেটে মুশফিক-সাকিব জুটি ভালোই খেলছিলেন। তবে দলীয় ১২১ রানে যুজবেন্দ্র চাহালের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মুশফিক। ২৩ বল থেকে ২৪ রান করা মুশফিক। এরপর লিটনের শুরুটাও খারাপ হয়নি। তবে দলীয় ১৬২ রানে ফিরলেন লিটনও (২২)।
পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক জুটি বেঁধেছিলেন সাকিবের সঙ্গে। তবে তিনি ফিরে যান দলীয় ১৭৭ রানে।
মঙ্গলভার এডবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ৩১৪ রান করে ভারত। ফিল্ডিংয়ে নেমে ১৮ রানেই রোহিতকে ফেরানোর সুযোগ পায় টাইগাররা। সেই সুযোগই মিস করেছেন তামিম ইকবাল। মুস্তাফিজের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে সহজ ক্যাচ মিস করেন তিনি। জীবন পেয়েই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন রোহিত। তুলে নেন সেঞ্চুরিও। শেষ পর্যন্ত দলীয় ১৮১ রানে সৌম্য সরকার ভাঙেন ওপেনিং জুটি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ১০৪ রান করেন রোহিত।
রোহিত শর্মার পর আউট হন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। দলীয় ১৯৫ রানে রুবেল হোসেনের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯২ বল থেকে ৭৭ রান করেন তিনি। এরপর ৩৯তম ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ২৩৭ রানে বিরাট কোহলিকে (২৬) রুবেলের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে কোহলি আউট হন। একই ওভারের চতুর্থ বলে শূন্য রানেই ফিরেন হার্দিক পান্ডে।
পরপর দুই উইকেট হারানোর পরও ঋষভ পান্তের ব্যাটে ঝড় চলছিল। শেষ পর্যন্ত দলীয় ২৭৭ রানে ৪১ বল থেকে ৪৮ রান করে সাকিবের প্রথম শিকারে পরিণত হন পান্ত। এরপর ৪৮তম ওভারে দলীয় ২৯৮ রানে দিনেশ কার্তিককে ফেরান মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে দলীয় ৩১১ রানে ৩৩ বল থেকে ৩৫ রান করে মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন ধোনি। পরে ভুবনেশ্বর কুমার রান আউট হন দলীয় ৩১৪ রানে। ইনিংসের শেষ বলে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান সামি।
বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই। কারণ সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে বাংলাদেশকে। সাত ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সাত নম্বরে। অপরদিকে গত রবিবার ভারতকে হারানোর পর ৮ ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট এখন ১০।
সেক্ষেত্রে সেমিফাইনালে যেতে বাংলাদেশকে আজ ভারত ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে হবে। তাতেও শেষ হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ম্যাচের দিকেও। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতে গেলে দুই ম্যাচ জিতেও লিগ পর্ব থেকে ঘরে ফিরতে হবে টাইগারদের।
ইত্তেফাক/কেআই