শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাঁশখালীতে দিনদুপুরে বন্দুকযুদ্ধ সহোদর দুই সন্ত্রাসী নিহত

আপডেট : ২১ জুন ২০১৯, ২২:১৯

অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ ৩৩ মামলার আসামি জাফর মেম্বর ও তার ভাই খলিল র্যাবের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিনে-দুপুরে উপজেলার সরল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় র্যাবের সঙ্গে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে র?্যাব সদস্যরা একটি বিদেশি পিস্তলসহ ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গুলি ও রাম দা উদ্ধার করে। নিহতরা বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের দক্ষিণ সরল গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র।  এ দুজনের মধ্যে জাফর ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ছিলেন।

চট্টগ্রাম র?্যাব-৭ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে র্যাবের একটি টিম জাফর আহমদের বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায়। এসময় জাফর মেম্বরসহ সেখানে অবস্থানকারী ডাকাতদল র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে তারা পালানোর চেষ্টা করে এবং ঘটনাস্থলে জাফর আহমদ (৪৮) ও তার ভাই খলিল আহমদ (৪৫) নিহত হয়। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালীন  সেখানে ৩০/৩৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বাশঁখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

এদিকে দক্ষিণ সরল গ্রামে ডাকাত জাফর ও তার ভাই খলিল নিহতের সংবাদ পেয়ে এলাকার শত শত মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ উল্লাস করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুন, ডাকাতিসহ ৩৩ মামলার আসামি সাবেক ইউপি সদস্য জাফর আহমদ ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত। তার নিয়ন্ত্রণে সরল ইউনিয়নের সরকারি ঝাউ বাগান উজাড় করে  শত শত একর লবণ ও চিংড়ি চাষ জমি দখল করা হয়। এই সরকারি জায়গা দখল নিয়ে সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের সংর্ঘষে ৫ বছরে ৪ জন খুন হয়। জাফর ডাকাতের আতংকে সরল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের দিন কাটাত। অপর নিহত খলিল আহমদের বিরুদ্ধেও দাঙ্গা-হাঙ্গামার ৮টি মামলা রয়েছে।

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) কামাল উদ্দিন জানান, দুর্ধষ    ডাকাত সন্ত্রাসী জাফর মেম্বারের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা রয়েছে। তত্মধ্যে ১১টিতে ওয়ারেন্ট রয়েছে। পুরো এলাকা সে জিম্মি করে রেখেছিল।

গাংনীতে গোলাগুলিতে মাদক ব্যবসায়ী নিহত

এদিকে গাংনী (মেহেরপুর) সংবাদদাতা জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজীপুর গ্রামে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে এনামুল হক (৪৫) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত এনামুল হক কাজীপুর গ্রামের বর্ডারপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে কাজীপুর মুন্সিপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, কাজীপুর মুন্সিপাড়া এলাকাতে গোলাগুলি চলছে এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের দু’টি দল ঘটনাস্থলের আশে-পাশে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ, একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশটি কাজীপুর গ্রামের বর্ডারপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে এনামুল হকের বলে তাত্ক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্য দ্বন্দ্বের জের ধরে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত এনামুল ছিল এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও বোমাবাজ। তার নামে গাংনী থানায় বিস্ফোরক, চাঁদাবাজি ও মাদক সংক্রান্ত হাফ ডজন মামলা রয়েছে। নিহত মাদক ব্যবসায়ীর লাশ শুক্রবার সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের  জন্য পাঠানো হয়।