বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কানে নতুন ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত বেশ ক’জন!

আপডেট : ২১ মে ২০১৯, ২১:৫১

 

প্রতিবছর সেরা চলচ্চিত্রটিই পেয়ে থাকে পালমে দ’র। ৭২তম কান চলচ্চিত্র উত্সবে পুরস্কারটি দেওয়া হবে আগামীকাল। মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার কোন পরিচালকের হাতে উঠবে, সেটা অনুমান করা এখনই সম্ভব নয়। কারণ তামাম দুনিয়ার সেরাদের সেরা ছবিগুলোই লড়ছে। তবে উত্সব চলাকালে নানা বিশ্লেষণ হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে কয়েকটি চলচ্চিত্রের ওপর ধারণা তৈরি হয়ে যায়। ধারণা যাই হোক, সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে কানের জুরি বোর্ড। মেক্সিকোর নামজাদা পরিচালত আলেহান্দ্রো ইনারিতু এ বোর্ডের প্রধান। তাঁর সঙ্গে আরো আছেন কেলি রেইখার্ডট, অ্যালিস রোরওয়াচার, মাইমুনা এন’ডিয়া, ইয়র্গোস ল্যান্থিমোস ও পয়েল পলিকোভস্কি। তাঁদের সঙ্গে আছেন কানের ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সী জুরি এলে ফ্যানিং। এ জুরি বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা ভাবা কঠিন।

সবার বিশ্লেষণে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে পেদ্রো আলমোদোভারের পেইন অ্যান্ড গ্লোরি। প্রদর্শনের পরও সিনেমাটি আলোচনা হচ্ছে। সেদিক থেকে এটির পাল্লা খানিকটা ভারি। কানে গুঞ্জন চলছে, এটাই জিতবে পালমে দ’র। অনেক বছর ধরে কান উত্সবে আলোচনায় থাকলেও আলমোদোভার এখনো পালমে দ’র জেতেননি। সে কারণে অনেকেই নিশ্চিত হয়ে গেছেন, পেদ্রো আলমোদোভারের তাঁর না ছোঁয়া পাতাটি ছুঁতে যাচ্ছেন।

ফরাসি নারী পরিচালক সেলিন শিয়ামার ড্রামা ফিল্ম পোর্ট্রেট অব অ্যা লেডি অন ফায়ার নিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ছবিটির নির্মাণশৈলীর প্রশংসা হচ্ছে। এদিকে দ্য পিয়ানোর জন্য জেন ক্যামিওনের পর আর কোনো নারী পরিচালক পালমে দ’র জিততে পারেননি। তাই শিয়ামার এই ছবিটি জিতবে না সেটা বলা যায় না কোনোভাবেই। এই ড্রামা ফিল্মের মূল গল্প অষ্টাদশ শতকের একজন নারী চিত্রশিল্পীর জীবনের সমপ্রেম নিয়ে। শিল্পীকে ভাড়া করা হয় এক ধনী ঘরের নারীর পোর্ট্রেট তৈরি করতে। এ সময় তাঁরা একে অন্যের প্রেমে পড়ে যান।

পরিচালক লাজ লে’র প্রথম সিনেমা এটি, নাম লা মিজারেবল। এটি নিয়ে কানের সমুদ্রপাড়ে এতটাই আলোচনা হচ্ছে যে, অনেকে তো বলছেন, প্রথম বলেই হয়তো পরিচালক ছক্কা হাঁকাতে পারেন। প্যারিসে এক কঠোর পুলিশ কর্মকর্তা আর এক নিপীড়িত মুসলিমকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এ ছবির গল্প। ছবিতে নৈতিকতার, দায়িত্বের মধ্যে নানা টানাপোড়েনের মুহূর্ত দেখা যায়। একইভাবে আলোচনায় আছে আটলান্টিকস সিনেমাটি। সিনেমাটি নিয়ে ম্যাটি ডিওপই কান উত্সবের ৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে পালমে দ’র প্রতিদ্বন্দ্ব্বী হিসেবে হাজির হয়েছেন। তিনিও ইতিহাস গড়তে পারেন!

টেরেন্স ম্যালিক ২০১১ সালে পালমে দ’র জিতেছিলেন তাঁর দ্য ট্রি অব লাইফ ছবির জন্য। এবার তিনি হাজির ‘অ্যা হিডেন লাইফ’ নিয়ে। এ ছবি দ্ব্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেন্দ্রিক। ফ্রাঞ্জ তাঁর স্ত্রী ফ্যানিকে নিয়ে জার্মানির পার্বত্য অঞ্চলে বাস করতেন। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু সরকারের আনুগত্যের শপথ নিতে অস্বীকার করায় ফ্রাঞ্জকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। চলচ্চিত্র সমালোচক ও পরিচালক ক্লেবার মেনডোনকা ৩ বছর পর কান উত্সবে অংশ নিচ্ছেন বাকুরাউ ছবি নিয়ে। ছবির গল্প দুর্গম পাহাড়ে ঘেরা এক গ্রাম নিয়ে, যেখানে মানুষ পানির অভাবের মাঝে জীবনযাপন করে। তাঁর হাতেও উঠতে পারে স্বর্ণপত্র!