শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলা

আপডেট : ২০ মে ২০১৯, ২১:৩৭

এএফপি ও রয়টার্স

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ‘গ্রিন জোনে’ রবিবার রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের হামলার হুমকির কথা উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে থাকা তাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কয়েকদিন পর এ হামলা হলো। ‘গ্রিন জোনে’ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও মার্কিন মিশনসহ আরো অনেক দেশের দূতাবাস রয়েছে। এই হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যেকার উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে ইরাকের নিরাপত্তা সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একটি কাতিউশা রকেট রাজধানীর গ্রিন জোনে আঘাত হানে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাগদাদের ‘গ্রিন জোনে’ নিক্ষিপ্ত রকেট যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আঘাত করেনি, এতে কেউ হতাহত হয়নি এবং উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। কোনো পক্ষ রকেট নিক্ষেপের দায় স্বীকার না করলেও এ ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্র ‘খুব গুরুত্বের’ সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে আসছি এবং আবারো বলছি, যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন ও স্থাপনার ওপর হামলা সহ্য করা হবে না এবং নিষ্পত্তিমূলক ভঙ্গিতে এর জবাব দেওয়া হবে। ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীগুলো বা এ রকম কোনো বাহিনীর কোনো অংশ এ ধরনের কোনো হামলা চালালে আমরা ইরানকে দায়ী বলে গণ্য করব এবং সেই অনুযায়ী ইরানকে জবাব দিব।’ ইরাকে বিশেষত দেশটির শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলে ইরানের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে হওয়া ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে যায়। চলতি মাসে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বিগত কয়েক সপ্তাহে  উত্তেজনা আরো বেড়েছে। এ মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি রণতরী এবং বি-৫২ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি একটি উভগামী যুদ্ধজাহাজ ও একটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি পাঠিয়েছে। এরকম অবস্থায় ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলা উত্তেজনার পারদ আরো বাড়িয়ে দিল।