শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে মোদি-মমতা বাগযুদ্ধ তুঙ্গে

আপডেট : ১৬ মে ২০১৯, ২২:৪০

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে এসে পশ্চিমবঙ্গ যেন কুুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক উত্তেজনা আর সংঘাতপূর্ণ পরিবেশের পটভূমিতে এই রাজ্যে শেষ ধাপের ভোটের প্রচারণা নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে কলকাতায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাগযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। আর বিরোধী দল কংগ্রেস জানিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য বিজেপির পতন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদেও ছাড় দিতে রাজি কংগ্রেস।

গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক উত্তাপ বিরাজ করছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের রোড শোতে হামলা ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা কথার লড়াইয়ে নেমেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের ঘোসি লোকসভার আসনে নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেন, যেখানে তৃণমূল মূর্তি ভেঙেছে, সেখানে বিজেপি সরকার পঞ্চধাতুর মূর্তি বানিয়ে দেবে।মোদির বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, বিজেপির কাছ থেকে আমরা ভিক্ষা নেব না। মথুরাপুরের জনসভায় মমতা বলেন, তৃণমূল সরকার বিদ্যাসাগরের মূর্তি বানাবে।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ভারতের বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য কোনো শর্ত দেবে না কংগ্রেস। দলটির প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেছেন, এনডিএ জোটের বাইরে থাকা অন্য কোনো দলের কারো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়েও দাঁড়াবে না তারা। যদিও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এর আগে বেশ কয়েকবার বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না। তবু ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং আম আদমি পার্টির নেতা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল কিছুদিন আগেই বলেছেন, বিজেপিকে রুখতে তারা সকলেই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত। যদিও এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের মতো কেউ কেউ চাইছেন, এ ব্যাপারে যোগ্য হবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বা বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) নেত্রী মায়াবতী। এই প্রেক্ষিতেই আজাদ স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই কংগ্রেসের। দলের একমাত্র লক্ষ্য, বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

অন্যদিকে বিরোধীদের একজোট করতে শেষ পর্যন্ত উদ্যোগ নিয়েছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। আগামী ২৩ মে ভোট গণনার দিনই বিরোধীদের এক বৈঠক ডেকেছেন সোনিয়া।