বিশ্ব চলচ্চিত্রের বৃহত্তর আয়োজন কান উত্সবের ৭২তম আসর শুরু হবে আগামী ১৪ মে। ওইদিন মার্কিন নির্মাতা জিম জারমাশের ‘দ্য ডেড ডোন্ট ডাই’ ছবির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে। ২৫ মে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে উত্সবের। তবে তার আগে বিজয়ীদের নাম জানাবেন প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারকরা। সেরাদের যাচাই করবেন ৮জন বিচারক, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকই নারী। তবে তাঁদের নেতৃত্বে রয়েছেন মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু। তাতে কী! বিচারেও যে নারীরা অনন্য, এবার তা প্রমাণ হয়ে যাবে আরেকবার!
২০০৬ সালে কান চলচ্চিত্র উত্সবে ‘বাবেল’-এর জন্য সেরা নির্মাতার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন ইনারিতু। তার প্রায় একযুগ পর তিনিই কানের প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পেলেন! এ বছর ‘স্বর্ণপাম’ কে পাচ্ছেন, সেটার বিচার করবেন ইনারিতু। তাঁর নেতৃত্বে কান চলচ্চিত্র উত্সবে জুরি বোর্ডের নারী বিচারকের মধ্যে সবচেয়ে বড়ক চমক হলেন ২১ বছর বয়সী মার্কিন অভিনেত্রী এল ফ্যানিং। এর মাধ্যমে সবচেয়ে কম বয়সে বিচারকের আসনে বসার রেকর্ড গড়লেন এই তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে জন্ম নেওয়া এই অভিনেত্রী এরইমধ্যে ৩০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এ তালিকায় রয়েছে সুপার এইট (২০১১), মেলফিসেন্ট (২০১৪), টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ওমেন (২০১৬)।
বিচারকের ভূমিকায় আছেন শুনে বেশ উচ্ছ্বসিত এই অভিনেত্রী। ফ্যানিং বলেন, ‘এত সম্মানের একটি আসনে খুব কম সময়ে বসার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবান মনে করছি। এটি আমার ছোট্ট ক্যারিয়ারের বড় প্রাপ্তিগুলোর মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে নিজের বিচক্ষণতা প্রমাণ করতে পারবো আশা করি।’
এল ফ্যানিং ছাড়া অন্য নারী বিচারকরা হলেন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর অভিনেত্রী-পরিচালক মায়মুনা এনদাই, ২০০৮ সালে আঁ সার্তে রিগারে নির্বাচিত ‘ওয়েন্ডি অ্যান্ড লুসি’ সিনেমার নির্মাতা কেলি রাইকার্ড, গতবছর কানে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জয়ী ইতালিয়ান নির্মাতা অ্যালিস রোরওয়াচার (হ্যাপি অ্যাজ ল্যাজারো)।
মায়মুনা এনদাই বলেন, ‘আমরাও পারি বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানের জায়গায় নিজেদের ভূমিকা রাখতে। এটা চলমান থাকবে বলে আমি আশা করি। তাছাড়া এই সুযোগটি আমার কাজের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেবে। বিচারকের ভূমিকায় থেকেও অনেককিছু শিখতে পারবো। যা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য মঙ্গল বার্তা।’
এই ৪ নারী ছাড়া অন্যান্য বিচারকরা হলেন অস্কার মনোনীত গ্রিসের পরিচালক ইওর্গেস লানতিমোস, কানের গত আসরে ‘কোল্ড ওয়ার’ ছবির জন্য সেরা পরিচালক হওয়া পোল্যান্ডের পাওয়েল পাওলিকস্কি, ২০১৭ সালে কানে গ্রাঁ প্রিঁ জেতা ফরাসি নির্মাতা রবিন ক্যাম্পিলো ও ফরাসি গ্রাফিক ঔপন্যাসিক-নির্মাতা এনকি বিলাল।