প্রচারের আলো সবটাই যে তৃণমূল প্রার্থী নুসরাত জাহান টানবেন এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেন না; তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। নায়িকার গ্লামার বলে কথা। তাই বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে নুসরাত যেখানেই যাচ্ছেন প্রচারের সব আলো তার দিকেই চলে যাচ্ছে। সন্দেশখালির প্রত্যন্ত দ্বীপেই হোক আর সুন্দরবনের লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ কিংবা বসিরহাট শহর সর্বত্র ভোট প্রচারে নুসরাতকে ‘ছোট বোনের’ মতো আগলে রাখছেন রিঙ্কু।
কে এই রিঙ্কু? তিনি তৃণমূলের সর্বক্ষণের কর্মী। পুরো নাম রিঙ্কু দত্ত দে। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা। বসিরহাটের অভিনেত্রী প্রার্থীকে গাইড করার সেদিন থেকেই ছায়ার মতো পাশে রয়েছেন রিঙ্কু দত্ত দে। বাড়ি দুর্গানগরের। স্বামী ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার। বয়স এখনও ৪০ পেরোয়নি। দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান ইন–কাউন্সিল। জেলার জনপ্রিয় মহিলা নেত্রী। বারাসত আদালতে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিশ করতেন। দলের দায়িত্ব বাড়ায় তা ছাড়তে হয়েছে। একসময় মমতা শঙ্করের কাছে নাচের তালিম নিতেন। এখন আর চর্চা করার সময় পান না। তবে মেয়েকে শেখাচ্ছেন। ৭ বছর ধরে দলের বসিরহাটের পর্যবেক্ষক। ফলে এই এলাকার সব নেতা, কর্মীদের হাঁড়ির খবর রাখেন।
আরো পড়ুন: বিয়ের মণ্ডপ থেকে উঠেই ভোট কেন্দ্রে এই নবদম্পতি
তৃণমূলের শ্রমিক নেতা কৌশিক দত্ত বলেন, ‘রিঙ্কু দি আমাদের জেলাকে খুব ভাল চেনেন। বক্তা হিসেবেও যথেষ্ট দক্ষ। দলের ব্লক স্তরেরও খোঁজ রাখেন, নিচুতলার কর্মীদের সুবিধা, অসুবিধা, সমস্যা বোঝেন। সবার পাশে থাকেন।’ ভোটে নিজের কেন্দ্র দমদম তো আছে ছুটতে হচ্ছে বনগাঁতেও। বসিরহাটে প্রতি সভায় তিনি থাকছেন নুসরাতের পাশে পাশে।’
সেদিন প্রচারে ফাঁকে নুসাঁত বললেন, ‘আমি প্রার্থী হওয়ার পর এমন একজনকেই পাশে চেয়েছিলাম। তার থেকে বেশি ‘রিঙ্কুদি’। সব ব্যাপারে তার কাছ থেকে আমি শিখছি। এমনকী বক্তৃতা করাটাও। আমাকে তো নিজের বোনের মতো আগলে রেখেছেন।’
ইত্তেফাক/বিএএফ