g আবুল কাসেম ভূঁইয়া
সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় সবজি টমেটো হচ্ছে শীতকালীন সবজি। বর্তমানে আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ২০১১ সালের দিকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে সফলতা অর্জন করে। পরবর্তীতে উত্তর বঙ্গের চাষিদের গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের পদ্ধতির ব্যাপারে কৃষি বিভাগ বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করে। বিশেষ করে রংপুর, রাজশাহী, যশোর জেলায় প্রাথমিকভাবে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ শুরু হয়। এতে কৃষকরা সফল হয়। পরবর্তী পর্যায়ে সারা বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দুই ধরনের গ্রীষ্মকালীন টমেটো উত্পন্ন হচ্ছে। এর মধ্যে হাইব্রিড বারী-৪ জাতীয় টমেটো হচ্ছে উন্নত মানের এবং বন বেগুনের গাছের সাথে গ্রাফটিং পদ্ধতিতেও গ্রীষ্মকালীন টমেটো উত্পন্ন হচ্ছে। বিশেষ করে জুন মাসের দিকে এই টমেটোর চাষ করা হয়। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ একটু ব্যয়বহুল এবং কষ্ট সাধ্য।
আমাদের দেশ গ্রীষ্ম প্রধান এবং বর্ষাপ্রবন হওয়াতে শেড পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করতে হয়। শেড তৈরি করতে বাঁশ এবং পলিথিন লাগে। গ্রীষ্মকালীন টমেটো বাজারে উচ্চদামে বিক্রি হওয়াতে কৃষকরা টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। জানা যায় বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ৪৫০ কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করছেন। রাজশাহীর একজন কৃষক ১০ কাঠা জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় করেছেন। জুন মাসের দিকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। চারা রোপণের দেড় মাসের মধ্যে ফলন আসে।
গ্রীষ্মকালীন টমেটোর স্বাদ, গন্ধ শীতকালীন টমেটোর মতো। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কৃষকরা গ্রীষ্মকালে অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করছেন। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের ব্যাপারে কৃষকদের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় তারা এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে পারছেন না। গ্রীষ্মকালীন টমেটো ব্যাপকভিত্তিতে চাষাবাদ করার লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান, বীজ এবং চারা বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে।