শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্বকাপই মোসাদ্দেকের স্বপ্ন

আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ২১:২০

স্পোর্টস রিপোর্টার

চোখের সংক্রমণটাই বিপদে ফেলে দিলো মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।

জাতীয় দলে ভালো শুরু করেছিলেন। কেবল নিয়মিত হয়ে উঠেছিলেন। এর মধ্যে চোখের সংক্রমণ তাকে ছিটকে দিলো মাঠের বাইরে। আর ফেরার পর নিয়মিত হতে পারছেন না কিছুতেই। ছিলেন না সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের দলেও। তারপরও সৈকত আছেন বিশ্বকাপের আলোচনায়। আর এই আলোচনা নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে সৈকতকে। গতকাল বলছিলেন, এই স্বপ্নটা পূরণ হলে তবেই তৃপ্ত হবেন।

এবারের ঢাকা লিগে সৈকতের পারফরম্যান্স নিতান্ত খারাপ নয়। ৮ ম্যাচে ৪টি পঞ্চাশ পার করা ইনিংস আছে। ৩৮.৮৫ গড়ে ২৭২ রান করেছেন সৈকত। বলছিলেন, ফর্ম নিয়ে তৃপ্তি আছে। কিন্তু সেটা পূর্ণতা পাবে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেলে, ‘যখন একটা প্লেয়ার পারফর্ম করতে থাকে তখন থেকেই তার মধ্যে একটা তৃপ্তি কাজ করতে থাকে। আসলে সত্যিকার অর্থে তৃপ্ত তখনই হবো যদি মনের মধ্যে যেই লক্ষ্যটা আছে, বিশ্বকাপে যাওয়া, সেটা পূর্ণ হয়। তখনই হয়তো আশা পূর্ণ হবে। আমার কাজ পারফর্মেন্সে মনোযোগ দেয়া, আমি সেটাই করছি, বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’

জাতীয় দলে ডাক পেলে হয়তো শেষ দিকে তাকে ব্যাট হাতে কিছু করার কাজটাই আবার করতে হবে। সৈকত বলছিলেন, সেটা তিনি করতে প্রস্তুত আছেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যত ম্যাচ খেলেছি, সবসময়ই এই দায়িত্বই পালন করতে হয়েছে। হয়তো কিছু সময় হয়েছে, আবার কিছু সময় হয়নি। আমিও খুব ভালো করে জানি আমার কাজটা ফিনিশিং এর দিকে। আমি এই জিনিসটা যত দ্রুত ধরতে পারব আমার জন্য ততই লাভ। প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচেও সেটা চেষ্টা করছি।’

আপাতত সৈকত এটা ভেবেই সন্তুষ্ট যে, তাকে নিয়ে আলোচনাটা অন্তত হচ্ছে। এর ফলে তার আশাটাও টিকে আছে, ‘এটা আসলে আমার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক, এখন একটা আভাস পাচ্ছি। তখনই সত্যি হবে যখন এটা পুরোপুরি ঘোষণা করা হবে। দল ঘোষণা হলেও আমার কাজ হচ্ছে পারফর্ম করা। আমি প্রিমিয়ার লীগ খেলছি, আমার কাজ হচ্ছে পারফর্ম করে যাওয়া। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আমি নিজেও জানি না কি হবে। তবে এটা খুবই অনুপ্রেরণার বিষয়, উনাদের নজরে আমি আছি। আমি আগেও বলেছিলাম, অন্যদের থেকে আমরা পারফর্ম করলে একটু এগিয়ে থাকব আমরা।’

ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে সাকিবের পাশে আরও একজন বাড়তি স্পিনার না খেলিয়ে ব্যাটিংটা লম্বা করার চিন্তা কাজ করতে পারে ম্যানেজমেন্টের মাথায়। আর সে ক্ষেত্রে বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাক পেলে সৈকতকে বল হাতেও কিছু ভূমিকা রাখতে হবে। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার বলছিলেন, সেই অবদানটা রাখতে তিনি প্রস্তুত, ‘আমি আসলে যেখানেই খেলছি, সেখানেই বোলিংয়ে আমার টুকটাক কন্ট্রিবিউশন আছে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমি একটা ম্যাচে তিন উইকেট পেয়েছিলাম। ওই ম্যাচটায় টার্নিং পয়েন্ট ছিল সেটি। আমি যখন বোলিং করি চেষ্টা করি ইকনমিটা ঠিক রাখার। আমি জানি একটা ম্যাচে হয়তো আমাকে ৫-৬ ওভার বোলিং করা লাগতে পারে। আমি বোলিংয়ের সময় নিজেকে একজন বোলার হিসেবেই চিন্তা করি।’