শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

উগ্রবাদ মোকাবিলায় চাই সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০১৯, ২২:৩৩

সহিংস উগ্রবাদ বর্তমান বিশ্বের এক বড় চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো এই চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশকেও মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সহিংস উগ্রবাদ মোকাবিলায় সরকারের কৌশল ও কার্যপরিকল্পনা প্রশংসিত হলেও এই সমস্যা মোকাবিলায় প্রয়োজন আরো সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গীকার। একই সাথে সাংস্কৃতিক জাগরণেরও প্রয়োজন রয়েছে।

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি খন্দকার লুত্ফুল কবির বলেন, সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে আমরা তৃপ্ত নই। আমরা প্রতিরোধ করতে পারলেও এর নির্মূলে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সহিংস উগ্রবাদের একটি নিজস্ব চেহারা থাকলেও এর মেজাজ নির্ধারিত হয় সংশ্লেষ ও সংক্রমণের মাধ্যমে। আমরা সহিংস উগ্রবাদের সংক্রমণকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এর মূলোত্পাটনে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষকে নিয়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করে অভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির যথার্থ ব্যবহারে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে পরিবার থেকে সর্বপ্রথমে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

সংলাপে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গীকারের যৌথ প্রতিফলন এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির আরো উন্মেষ না ঘটলে শুধু প্রচলিত আইন আর দণ্ড দিয়ে সহিংস উগ্রবাদ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কয়েকদিন আগে নিউজিল্যান্ডের মসজিদে ঘটে যাওয়া বিভীষিকাময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মধ্যে দিয়ে এটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে।

প্রবন্ধে বলা হয়, সহিংস উগ্রবাদ বিস্তারে পারিবারিক বন্ধনের অভাব, ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা না বোঝা, বেকারত্ব, হতাশা, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য, সুশাসন না থাকাই মূল কারণ। আবার ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েও সহিংস উগ্রবাদী কার্যক্রমে তরুণদের সম্পৃক্ত করার ঘটনাও ঘটেছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ ব্রাদার চন্দন বেনেডিক্ট গমেজ, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মুহাম্মদ আবু ইউসুফ, রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সম্পাদক স্বামী গুরুসেবানন্দ, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সম্প্রীতি প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার আইরিন বাশার রিফাত ও ইশরাত পারভীন ইমা।