রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এই একটা দিনের অপেক্ষায় থাকেন। বার্ষিক ক্রীড়া ও মেধা পুরস্কারের দিনটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উত্সবের দিনে রূপান্তর হয়। যেখানে আসেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই এককাতারে মিলিত হন। এমন আরেকটি দিন গেছে কাল। নানা রংয়ে নানা সাজে সজ্জিত হয়ে অতিথিদের সামনে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেলে ধরেছিলেন। মাশরাফির ঢংয়ে বল করলেন বৃষ্টি। সাকিবের মতো ব্যাট করলেন আফরিন আলম। হয়ে গেল ছক্কা। তা দেখে সবার গগণবিদারী উল্লাস। উড়ল বেলুন, নাচল ছোট ছোট মেয়েরা। নারী জাগরণে উদাহরণ তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে করল নানা ভাবে, নানা আয়োজনে। শারীরিক কসরত আর মেয়েদের সাইকেল চালানো, সব কিছু মিলিয়ে এমন উপস্থাপনা অতিথিদের মুগ্ধ করেছে। প্রশংসার বাণী পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সাইকেল চালিয়েছে তাসনিম, নাফিসা, মারিয়া, নোভা এবং হাদিতা। এই মেয়েদের কথা-সাইকেল চালিয়ে আমরা প্রমাণ করতে চাই অগ্রণী স্কুলের শিক্ষার্থীরা সবই পারে। আমরা কোনো কিছুতেই পিছিয়ে নেই।’
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য হাজী সেলিম বার্ষিক ক্রীড়ার উদ্বোধন করেন। পুরস্কার বিতরণ করেন তার পুত্র অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম। সোলায়মান বলেন,‘দেশের নারী জাগরণের উদাহরণ দিয়ে যে পারফরম্যান্স করেছে তা সত্যি দারুণ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী জাগরণে যা কিছু করেছেন তা দুনিয়ার বুকে চিরদিন উদাহরণ হয়ে থাকবেন। অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা নারীদের উন্নতির জন্য অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ রেজাউজ্জামান ভুঁইয়া, দৈনিক ইত্তেফাকের সিটি এডিটর আবুল খায়ের, এমদাদ নাইম, লালবাগের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামাল, জাকির হোসেন, আজিজুর রহমান মোহন, শরিফুল এমদাদ নাইম, আনোয়ার ইকবাল, শেখ আলমগীর, আব্দুর রহমান বাবলা প্রমুখ। মেধা তালিকায় পুরস্কৃতরা হলেন- মোনালিসা হক মিমো, ফাতেমা ইসলাম, সাফিয়া ইসলাম, তাসনিয়া জামির, লামিয়া তানবিন, সুমাইয়া, জিনাত রহমান, অরুন্ধতী রায়, তাসনিম খান, আয়েশা আক্তার, ফারিহা আঞ্জুম, জেমিমা তাসনুভা, মাইশা মাহমুদ, মারিয়া শিকদার, ইসরাত জাহান, আনিকা অর্পা।