বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সরকারি শতকোটি টাকার বেহাত সম্পত্তি উদ্ধার

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৩

চট্টগ্রাম ফিরোজ শাহ এস্টেটের ১০০ কোটি টাকার অধিক মূল্যবান সরকারি সমপত্তি বেহাত থেকে উদ্ধার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে বেহাত হওয়া ওই সম্পত্তি উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে সরকারি ওই সম্পত্তি বেহাত হওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র তলব করেছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, দুদক অভিযোগ কেন্দ্র (১০৬)-এ অভিযোগ আসে যে, চট্টগ্রাম ফিরোজ শাহ এস্টেটের ৩০৮ কাঠা জমি বেআইনিভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম বৃহস্পতিবার জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায়। দুদক টিম জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রেকর্ড পত্র পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চট্টগ্রামস্থ ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটের জমি হতে ৫ পয়েন্ট ১৩ একর জমি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নয় মর্মে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ওম প্রকাশ নন্দী কর্তৃক এনওসি (অনাপত্তিপত্র) প্রদানের মাধ্যমে বেহাত করা হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক এই অনাপত্তি পত্র চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর প্রেরণ করা হয়। অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন উক্ত জমির নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। নির্দেশনা পাওয়ার পর সহকারী কমিশনার উক্ত জমি ২৮ জন বরাদ্দ গ্রহীতার নামে নামজারি করেন। এর ফলে ১০০ কোটি টাকার অধিক মূল্যবান এ সরকারি সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়।

দুদক সূত্র আরো জানায়, সরকারি জমি বেহাত হওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র তলব করেছে দুদক। খুব শীঘ্রই জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে দুদকে নথিপত্র প্রেরণ করা হবে বলে দুদক টিমের কাছে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি সমপত্তি নিয়ে দুর্নীতির ঘটনা রোধে দুর্নীতি দমন কমিশন কঠোরভাবে তত্পর রয়েছে। এক্ষেত্রে এ ঘটনার উপর দুদক শীঘ্রই অনুসন্ধান শুরু করবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’