ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় রবিবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হননি অভিযুক্ত দুই শিক্ষক নাজনীন আক্তার ও জিনাত আরা। পরে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম গতকাল এ আদেশ দেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিতে হাজির হন অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির হননি। নিয়ম অনুযায়ী বিচারক দুই আসামির জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। পরে অরিত্রীর মায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। তিনি তার সাক্ষ্যে শিক্ষকদের ‘অন্যায় অপমানজনক আচরণ ও হুমকির কারণে’ কি রকম মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল সেই বর্ণনা আদালতে দেন। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রসঙ্গত, নাজনীন ছিলেন ভিকারুননিসার বেইলি রোডের প্রধান ক্যাম্পাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। আর প্রভাতী শাখার প্রধান ছিলেন জিনাত। গত ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।