শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিশুর জন্মদিনের টাকায় ২০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা

আপডেট : ০৪ মে ২০২০, ১২:৫০

নিজের জমানো এক লাখ ৩৭ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী কিনে ২০০ পরিবারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়ে এক মানবিকতার পরিচয় ও অনন্য দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে শিশুপুত্র শেখ আবরার আদিব (৫)। ছেলের জমানো টাকায় খাদ্য সামগ্রী কিনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দুর্যোগের সময় ২০০ কর্মহীন, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে বাড়ি বাড়ি  তুলে দিয়েছেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান।

ছোট শিশুর মানবিকতা দেখে সাহায্য পাওয়া অসহায় পরিবারগুলো কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান জানান, শনিবার মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া ও ছাওয়ালী এলাকাসহ কয়েকটি গ্রামে শিশুপুত্র ও পরিবার এ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।

রবিবার মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসির) পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং এসআই হাবিব জানান, ছোট এই শিশু পুত্র শেখ আবরার আদিব এর মানবিকাতা দেখে আমরাও মুগ্ধ। তার দেয়া এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় কেনা বিতরণকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে  (জনপ্রতি) চাল ৫ কেজি, ডাল এক কেজি, চিনি এক কেজি, আলু দুই কেজি, তেল এক লিটার, ছোলা আধা কেজি, লবণ এক কেজি, পিয়াজ এক কেজি ও সাবান একটি। (পিটিসির) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান এর আগেও মির্জাপুর উপজেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিনামূল্যে পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস ও ম্যাকস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানমের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসির) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শেখ রাজীবুল হাসান বলেন, ছোট শিশু পুত্রের ইচ্ছায় ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পবিত্র মাহে রমজান ও দেশে চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনা এবং নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই সমাজের কিছু সুবিধা বঞ্চিত, কর্মহীন ও দরিদ্রদের মাছে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গতকাল আমার ছোট ছেলে শেখ আবরার আদিব এর ৪র্থ জন্মবার্ষিকী ছিল। দেশের পরিস্থিতি দেখে সে জন্ম দিন পালন করবে না বলে জানায়। বিগত সময়ে তার জমানো এক লাখ ৩৭ হাজার টাকা দরিদ্রদের মাঝে তুলে দিবে বলে জানায়। ছেলের ইচ্ছায় খাদ্য সামগ্রী কিনে দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

ইত্তেফাক/আরকেজি