মহামারি করোনা ভাইরাসে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাজারো মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। তবে থেমে নেই চিকিত্সা বিজ্ঞানী বা গবেষকরা।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি ইনোভায়ো ফার্মাসিউটিক্যালের যৌথ উদ্যোগে নোভেল করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন দুইটি তৈরির চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ভ্যাকসিন দুইটি প্রাণীর শরীরে প্রয়োগে সুফল পাওয়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে সিয়াটলে যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন চালিয়েছে। তবে প্রাণীদের ওপর পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটি উত্তীর্ণ না হওয়ায় মাঝপথেই পরীক্ষাটি বাদ দেওয়া হয়।
গত কয়েক দিনে অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিসরো) বিজ্ঞানীরা এই টিকার নমুনা লোমযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করে দেখেছেন যে, মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এই টিকাতেও তাই ঘটেছে। প্রাণীর ওপর পরীক্ষার ফলাফল পেতে আগামী জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সফল হলে তা ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার জন্য যাবে। গবেষকরা বলছেন, করোনার টিকা উদ্ভাবনে দুনিয়া জুড়ে যে মাত্রায় ও দ্রুত গতিতে সহযোগিতা চলছে তা অভূতপূর্ব। সিসরোর বিজ্ঞানী ড. রব গ্রেনফেল বলেন, ‘এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সাধারণত দুই বছর সময় লাগে আর আমরা প্রকৃতপক্ষে এখন তা কয়েক মাসের মধ্যে নামিয়ে এনেছি।’
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হতে আরো তিন মাস সময় লাগবে। এসব পরীক্ষা সফল হলে আগামী বছরের শেষ দিকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে।