শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এক পরিবারের সাত জনের নামে ৭০ কাঠার প্লট বরাদ্দ কতটা যৌক্তিক!

আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:৩৭

পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ হাসেম ও তার পরিবারের সাত সদস্যের নামে পূর্বাচলে দেওয়া সাতটি প্লটের বরাদ্দ কেন বাতিল করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রাজউকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে বিষয়টি নজরে এলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন।

আদালত বলেন, জনগণ কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে একটু জমি ক্রয় করে। আবার সেই জমি অধিগ্রহণ করে অন্যের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। যার জমি অধিগ্রহণ করা হয় সে তো নিঃস্ব হয়ে যায়। যদিও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার        নিয়ম রয়েছে, কিন্তু ঐ ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে নানা হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়। আর সেই জমি যদি রাজউক এভাবে এক পরিবারের সাত সদস্যের নামে বরাদ্দ দেয় সেটা কতটা যৌক্তিক? আদালত বলেন, রাজউকের প্লট বরাদ্দ নিয়ে নানা গল্প প্রচলিত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি এম এ হাসেম ও তার স্ত্রী সুলতানা হাসেম, তাদের পাঁচ সন্তান আজিজ আল মাসুদ, আশফাক আজিজ, শওকত আজিজ, আজিজ আল কারমার, আজিজ আল মাহমুদের নামে ১০ কাঠা করে সাতটি প্লট বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে জামানত উত্তোলনের পর চার জনের নামে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকে অনিয়মিতভাবে প্লট বরাদ্দের বিষয়টি বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের ইস্যুভিত্তিক অডিট রিপোর্টে এ তথ্য উঠে আসে।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রাজউকের প্লট বরাদ্দের মধ্যে অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি থাকলে সেটা দেখার এখতিয়ার রয়েছে উচ্চ আদালতের। আর যদি কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্লট বরাদ্দ নিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।