শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

প্রত্যাশার চেয়েও কম হবে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি :এডিবি

আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৩৮

চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে প্রত্যাশার চেয়েও কম প্রবৃদ্ধি হবে এশিয়ায়। শুধু এই বছরই নয়, পরের বছরও দুর্বল প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গত অক্টোবরে এশিয়ার প্রবৃদ্ধি নিয়ে পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশের পর ডিসেম্বরে এর সম্পূরক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে এ বছর পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও এটি এখন পাঁচ দশমিক দুই শতাংশে নেমে আসতে পারে। পরের বছরও একই হারে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকতে পারে।

এ বিষয়ে এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুকি সাওদা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, উন্নয়নশীল বিশ্বে এখনো শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। কিন্তু বাণিজ্য বিরোধ দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অনেক দেশেরই অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে ব্যাবসায়িক আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবেদনে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ দেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক নীতি গ্রহণ এবং শক্তিশালী রেমিট্যান্স আয় অভ্যন্তরীণ ভোগব্যয় চাঙ্গা করবে। অর্থবছরের শুরুতে রপ্তানি আয় কমে গেলেও আশা করা হচ্ছে সরকারি উদ্যোগের ফলে রপ্তানি বাড়বে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে খাদ্যের দাম বাড়ছে। এ বছর এশিয়ার মূল্যস্ফীতির হার দুই দশমিক আট ভাগ থাকলেও ২০২০ সালে তিন দশমিক এক শতাংশ হতে পারে। বাণিজ্য বিরোধের ধাক্কা লেগেছে চীনের অর্থনীতিতে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে এ বছর চীনের প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক এক শতাংশ হতে আগামী বছর পাঁচ দশমিক আট শতাংশে নেমে যেতে পারে। ভারতের অর্থনীতিও নিম্নগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এডিবি বলছে এ বছর ভারতের প্রবৃদ্ধি পাঁচ দশমিক এক শতাংশে নেমে যেতে পারে। আগামী বছর যা ছয় দশমিক এক শতাংশে উন্নীত হতে পারে। ২০১৮ সালের জানুয়ারির পর ভারতের অভ্যন্তরীণ চাহিদা সবচেয়ে কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কর্মসংস্থানে ধীরগতি ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ সংকট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হংকং, চীনে এরই মধ্যে প্রযুক্তিগত মন্দা শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে বিনিয়োগ পরিস্থিতি দুর্বল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি এ বছর চার দশমিক ছয় শতাংশ হতে পারে যা আগামী বছর সাড়ে ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।