শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

যেসব অঞ্চল মুক্ত হলো এই দিনে

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:১১

আজ ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হানাদারমুক্ত হয়। ইত্তেফাক প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর।

মেহেরপুর:১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর হানাদারমুক্ত হয়। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আমিরুল ইসলাম বলেন, খলিসাকুন্ডি ব্রিজের কাছে আমরা এন্টি ট্যাংক মাইন পুঁতে একটি পাকিস্তানি গাড়ি উড়িয়ে দেই এবং সেই গাড়িতে সাত/আট জন পাকিস্তানি সৈন্য ছিল, এতে তারা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পলাশীপাড়া পাগলা সেতুর কাছে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধ করি এবং ৬ ডিসেম্বর মেহেরপুর জেলা দখলমুক্ত হয়। এদিকে মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

লালমনিরহাট: দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব উদ্যোগে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জা। এছাড়া আজ সরকারি হাইস্কুল খেলার মাঠ থেকে র্যালি বের করা হবে। পরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

হবিগঞ্জ: সুবেদার(অব.) আব্দুস শহীদের নেতৃত্বে ৩৩ সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা দল বিজয়ীর বেশে হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন। একই দিন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও নবীগঞ্জও মুক্ত হয়।

ঝিনাইদহ: ৫ ডিসেম্বর বিকালে মুক্তি ও মিত্রবাহিনী ঝিনাইদহ শহরের উপকণ্ঠে উপস্থিত হয়। ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাকসেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ শুরু করে।  আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী দুপুরের দিকে ক্যাডেট কলেজের ঘাঁটি ছেড়ে মাগুরার দিকে পালিয়ে যায়। আর সেই সঙ্গে ঝিনাইদহ শত্রুমুক্ত হয়। মানুষ জয়বাংলা শ্লোগান দিতে দিতে রাস্তায় নেমে আনন্দ-উল্লাস করতে থাকে।  অন্য বছরের মতো এ বছরও দিনটি পালনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর): মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ও শামছুল হক প্রথম দেওয়ানগঞ্জে বিজয় পতাকা হাতে নিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। আর এই দিনেই সর্বপ্রথম দেওয়ানগঞ্জ হানাদারমুক্ত হয়। উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খাইরুল ইসলাম জানান, মুক্ত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়াসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

ঝিকরগাছা (যশোর): এই দিনে মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য আবুল ইসলাম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোত্বাছিম বিল্লাহর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী ও মুজিববাহিনী ঝিকরগাছাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন।

এছাড়াও এদিনে রাজারহাট (কুড়িগ্রাম), শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার), দুর্গাপুর (নেত্রকোনা), ছাতক (সুনামগঞ্জ), কচুয়া (চাঁদপুর) হানাদার মুক্ত হয়।