মহারাষ্ট্রে আস্থা ভোটের মাধ্যমে নিজের সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বিজেপির দেবেন্দ্র ফাডনবিশকে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শনিবার ভোরে হুট করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ফাডনবিশের বিরুদ্ধে রাজ্যপালের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আগামীকাল বুধবারই ফাডনবিশকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভি’র।
এক নির্দেশে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থা ভোট গ্রহণের কথা বলেছে। তাছাড়া এই আস্থা ভোটে কোনও গোপন ব্যালট নয় বরং ভোট গ্রহণ সরাসরি সম্প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে আদালত আরও জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে এখনও বিধায়কদের শপথগ্রহণ হয়নি। তাই অবিলম্বে শপথগ্রহণের জন্য প্রোটেম স্পিকার (লোকসভার স্পিকার) নির্বাচন করতে হবে। প্রোটেম স্পিকারই বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন এবং তিনিই আস্থা ভোট পরিচালনা করবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় আরো ১৩ জন আটক
এদিকে রায়ের পরই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, ‘আমরাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে জোটের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে জোর জবরদস্তির সরকার হয়েছিল।’ কংগ্রেস নেতা এবং মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চওহান বলেন, ‘আমরা আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি জানিয়েছিলাম। আদালত আমাদের সেই দাবিকে সমর্থন দিয়েছে।’
উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে নাটকীয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বিজেপির দেবেন্দ্র ফাডনবিশ এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন অজিত পাওয়ার। সেই প্রক্রিয়াকে ‘অবৈধ’ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের জোট। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবিও জানিয়েছিলেন তারা। রবিবার এবং সোমবার শুনানির পর আজ মঙ্গলবার রায়ের দিন নির্ধারিত করে বিচারপতি এন ভি রমণ, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ।
ইত্তেফাক/এসইউ