শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিয়ম ভাঙলে জরিমানা হবে পথচারীরও

আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৯, ২২:১৫

অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবহারে ডিএনসিসির প্রচারণা

ইত্তেফাক রিপোর্ট

অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল পুশ বাটন ব্যবহার করে পথচারীদের সড়ক পারাপারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বিশেষ প্রচার অভিযান চালিয়েছে। গতকাল সোমবার ১১টা থেকে দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউতে গ্রীন হেরাল্ড স্কুলের সামনে প্রচারাভিযান চালান। এ সময় চলচ্চিত্র অভিনেতা ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন এ প্রচারাভিযানে যোগ দেন। প্রচারাভিযান অভিযানের সময় ট্রাফিক আইন মেনে চলার বিষয়ে তারা পথচারী ও গাড়িচালকদের প্রচারপত্র বিতরণ করেন এবং ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলার বিষয়ে গাড়িচালকদের পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন। এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে কোনো পথচারী নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে যত্রতত্রভাবে রাস্তা পার হলে সিটি করপোরেশন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পথচারীদের জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যত্রতত্রভাবে গাড়ি রেখে যানজট সৃষ্টি করা বন্ধে ও সড়কে শৃঙ্খলা আনতে নভেম্বর ও ডিসেম্বর দুই মাস প্রচারণা চালানো ও কঠোরভাবে সবকিছু মনিটরিং করা হবে। এরপর থেকেই জরিমানা শুরু হবে।

মেয়র বলেন, আমাদের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কেউ আইন ভঙ্গ করে না। কারণ সেখানে আইন ভঙ্গ করলে বড়ো ধরনের জরিমানা ও শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু একই চালক ক্যান্টনমেন্টের বাইরে আইন অমান্য করে। ?ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় এক ধরনের আচরণ এবং বাইরে আরেক ধরনের আচরণ হতে পারে না। সারাবিশ্বেই কঠোরভাবে আইন মানা হয়। সবখানেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। এর মূল কারণ আইন অমান্য করলে কঠিন শাস্তি এবং বড়ো অঙ্কের জরিমানা গুনতে হয়।

তিনি আরো বলেন, মানুষ যেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় এবং আইন মেনে চলে সেজন্যই শাস্তি এবং জরিমানা বাড়িয়ে নতুন আইন করা হয়েছে। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার পরে অনেকে ক্ষমতা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। আইন ভঙ্গকারীরা নিজের বা পরিচিত ক্ষমতাবানদের পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন। এমন কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে বিরত থাকতে হবে।

এ সময় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে হলে আমাদের এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে হবে। একসময় আমাদের দেশে সিনেমার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। এখন এর উন্নতি হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে কোর্স চালু আছে। আমাদের দেশে এখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা চালু করতে হবে। রাস্তায় শুধু ট্রাফিক থাকলে হবে না। ব্যবস্থাপনার জন্য ইঞ্জিনিয়ার থাকতে হবে। তাহলে সুস্থ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা হবে। প্রচারাভিযানের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম রতন, ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের কর্মকর্তা, পুলিশের কর্মকর্তা প্রমুখ। সচেতনতামূলক কার্যক্রম শেষে মেয়র গ্রীন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ সময় আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, স্কুলের সামনে বসানো ডিজিটাল পুশ বাটন ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ট্রাফিক এবং স্কুলের পক্ষ থেকে দুই শিফটে ১৪ জন দায়িত্ব পালন করবেন। তবে মূল দায়িত্ব পালনে অবশ্যই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে হবে বলে    জানান মেয়র।