মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১৮৫১ জনকে সাজা ৩২ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ২২:০০

মা-ইলিশ রক্ষায় নৌপুলিশের অভিযান

ইত্তেফাক রিপোর্ট

মা-ইলিশ রক্ষার অভিযানে গত ২০ দিনে নৌপুলিশ প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ও ৩৪ হাজার কেজি মা-ইলিশ জব্দ করেছে। জব্দ করা মা-ইলিশ এতিমখানায় সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল এ ব্যাপারে নৌপুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান’কে কেন্দ্র করে মা-ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই ২২ দিনে যদি কেউ নদীতে জাল ফেলে ইলিশ মাছ ধরে তাহলে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ সময় মা-ইলিশ ২০ লাখ থেকে ২২ লাখ ডিম ছাড়ে। যদি অর্ধেক ডিমও পরিপূর্ণ মাছ হয় তাহলে ১০ থেকে ২২ লাখ ইলিশ পাওয়া যাবে।

গতকাল নৌপুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের মোহনপুর নৌ ফাঁড়ি, মাঝিরঘাট নৌ ফাঁড়ি, চাঁদপুর সদর নৌথানা, হরিণাঘাট নৌ ফাঁড়ি, বড়ক্ষেরী নৌ ফাঁড়ি, আলুবাজার নৌ ফাঁড়ি, নরসিংহপুর নৌ ফাঁড়ি, খুলনা অঞ্চলের কাউখালী নৌ ফাঁড়ি, বাগেরহাট নৌ ফাঁড়ি, তিলডাঙ্গা নৌ ফাঁড়ি, পাড়েরহাট নৌ ফাঁড়ি, কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের ছাতক নৌ ফাঁড়ি, ভৈরব নৌ ফাঁড়ি, ফরিদপুর অঞ্চলের দৌলতদিয়া নৌ ফাঁড়ি, ঢাকা অঞ্চলের ভাঙ্গার চর নৌ ফাঁড়ি, করিমপুর নৌ ফাঁড়ি, গজারিয়া নৌ ফাঁড়ি, খাগকান্দা নৌ ফাঁড়ি, মির্জারচর নৌ ফাঁড়ি, বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়ি, বরিশাল অঞ্চলের চরদুয়ানী নৌ ফাঁড়ি, পূর্ব ইলিশা নৌথানা, কালীগঞ্জ নৌ ফাঁড়ি, কাকচিরা নৌ ফাঁড়ি, চামটা নৌ ফাঁড়ি, পায়রা কুঞ্জ নৌ ফাঁড়ি, কালাইয়া নৌ ফাঁড়ি, দশমিনা নৌ ফাঁড়ি, হিজলা নৌ ফাঁড়ি ও নাজিরপুর নৌ ফাঁড়ি এলাকায় একযোগে অভিযান পরিচালিত হয়। মা-ইলিশ ধরার অভিযোগে ১ হাজার ৮৫১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ৬২১ জনকে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা, ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা, ৩২৬টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হয়, ৭৪টি নৌকা থানা হেফাজতে, ২৮টি নৌকা মাঝ নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া, সাতটি ট্রলার নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া, পাঁচটি স্পিডবোট মত্স্য কর্মকর্তা ও একটি স্পিডবোট ঘাট সুপারভাইজারের হেফাজতে দেওয়া হয়। এছাড়া ৮৪ লাখ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।