ইত্তেফাক রিপোর্ট
তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই গ্রুপ এবারও আলাদাভাবে টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক গ্রুপ আগামী ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং অন্য গ্রুপ ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আলাদাভাবে ইজতেমা করবে। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠককালে সংশ্লিষ্টরা আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনে সম্মত হয়েছে। বিকাল সাড়ে চারটায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দিল্লি নেজামুদ্দিন মারকাজের আমীর মাওলানা সা’দ কান্দলভী অনুসারীদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রকৌশলী সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম। অপরদিকে সা’দ বিরোধীদের পক্ষে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ার হোসেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দুই পক্ষকে সন্তুষ্ট ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আলাদাভাবে ইজতেমার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০, ১১ ও ১২ জানুয়ারি সা’দ বিরোধী অংশ টঙ্গি ময়দানে ইজতেমা আয়োজন করবে। পরের সপ্তাহে অর্থাত্ ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দের অনুসারীদের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দ কান্দলভী অংশ না নেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া দুপক্ষই আলাদাভাবে ইজতেমার আগে পাঁচ দিনের জোড় করবে। তবে তা টঙ্গি ময়দানে করা যাবে না।
প্রসঙ্গত কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের বিবাদ-দ্বন্দ্বের কারণে গতবছর তা বিলম্বিত হয়। ফলে ফেব্রুয়ারি মাসে দুপক্ষ আলাদা আলাদা তারিখে বিশ্ব ইজতেমা করেন।