শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে আজ ঢাকায় বসছে পাঁচ দেশ

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৫৮

ইত্তেফাক রিপোর্ট

নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় বসছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাঁচটি দেশ। অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসরমান মুসলিম প্রধান জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই দেশগুলো মূলত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে আলাদা অর্থনৈতিক প্ল্যাটফরম তৈরি করতে চায়। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও মালদ্বীপ।

সাউথ ইস্ট এশিয়ান কো-অপারেশন (সিয়াকো) নামে এ সংস্থার আয়োজনে রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকাল সোমবার একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সিয়কোর নির্বাহী পরিচালক সালাউদ্দিন কাশেম খান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আলোচ্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটনসহ সার্বিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সংযোগ বাড়ানো সিয়াকোর উদ্দেশ্য। বিশেষত দেশগুলোর সংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) ন্যায় শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে। সালাউদ্দিন কাশেম খান বলেন, দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে প্রচলিত ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে ‘ইসলামিক ব্যাংকিং’ ও আর্থিক কাঠামো শক্তিশালী করার মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। বিশেষত বিদ্যুত্, পরিবহন ও সামাজিক অবকাঠামো খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছে ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিওআইএফই)।

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিওআইএফইর বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান জাহিদ মো. নূরুদ্দিন, সিয়াকোর মহাসচিব আব্দুর রাজ্জাক, আইডিবির কান্ট্রি হেড মো. নাসিম বিন সুলায়মান ও ডি-৮ এর মহাসচিব দাতো কুজাফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জানানো হয়, বৈঠকে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবেন। দিনব্যাপী ঐ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। এতে বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত থাকবেন।

প্রসঙ্গত, মুসলিম দেশগুলোতে বর্তমানে জনসংখ্যা প্রায় ১৮০ কোটি। অগ্রসরমান অর্থনীতির কারণে দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।