বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শমীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মানহানির অভিযোগ সত্য নয়

আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:৪৭

স্মার্টফোন খোয়া যাওয়ায় অভিনেত্রী শমী কায়সার প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীদের ‘চোর বলে সম্বোধন’ করার জেরে দায়ের করা মামলায় মানহানির অভিযোগ সত্য নয়। পুলিশের দাখিল করা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত এমন বক্তব্যে মামলার বাদী সন্তুষ্ট হতে পারেননি। ঐ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তিনি নারাজি দেবেন বলে জানিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের প্রতিবেদনটি ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতে হাজির থাকা বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নারাজি আবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। 

পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু-৩৬৫’-এর উদ্বোধনকালে মিডিয়াকর্মীসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেলিব্রেটি এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকজনের উপস্থিতিতে শমী কায়সারের দুটি স্মার্টফোন খোয়া যায়। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনসেট দুটি উদ্ধারের লক্ষ্যে সেখানে আগত কিছুসংখ্যক লোককে তল্লাশি করার জন্য সহকর্মীদের বললেও তারা কাউকে চেক করেননি। কিন্তু শমী কায়সারের কথায় সেখানে উপস্থিত কতিপয় সংবাদকর্মী তাদের চোর সম্বোধন করা হয়েছে মর্মে ভুল বুঝেছেন। পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন শমী কায়সার, যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তার পরও বাদী মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আনা অভিযোগের ভিত্তিতে সার্বিক তদন্তে শমী কায়সার কর্তৃক বাদীর মানহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি মর্মে প্রকাশ পায়।

এদিকে মামলার বাদী অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্টুডেন্ট জার্নালবিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাসান বলেন, প্রেসক্লাবের মতো জায়গায় শমী কায়সার সাংবাদিকদের চোর বলে সম্বোধন করে সাংবাদিকসমাজের মানহানি করেন। তার ঐ বক্তব্য বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, টেলিভিশনে আসে। তার পরও পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পায়নি।

গত ৩০ এপ্রিল ১০০ কোটি টাকার মানহানি ঘটেছে অভিযোগ এনে নালিশি অভিযোগে মামলাটি দায়েরের পর তদন্ত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। 

তদন্ত শেষে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মাহাবুবুর রহমান গত ২ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।